বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া, বৃদ্ধি পেয়েছে তিস্তা, দুধকুমারসহ অন্যান্য নদীর পানিও। ফলে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার নীচু এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করেছে। এসব এলাকার রোপা আমনসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। গ্রামীণ কাচা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে মানুষজন।

নদীর তীরবর্তী নীচু ও চরাঞ্চলের নীচু এলাকার বেশকিছু পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর যাত্রাপুর এলাকার সামছুল আলম জানান, ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এখনও ঘর-বাড়িতে পানি উঠেনি। যদি এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে তাহলে চরাঞ্চলের ঘর-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়বে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, ব্রহ্মপুত্র নদের উজানে ভারতের কয়েক রাজ্যে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী দু’একদিনের মধ্যে ধরলার পানি কমতে শুরু করবে। তবে ব্রহ্মপুত্রের পানি আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।